রক্তাভ শিমুল, পলাশের উচ্ছ্বাস, গাছে গাছে সবুজ কচি পাতার নাচোন, আমের মঞ্জরি সাক্ষী দিচ্ছিলো পুষ্পপল্লবে শোভিত হয়েই আসছে ঋতুরাজ বসন্ত। বিষাদে ক্লান্ত মানব মন বেদনার সুরে ঋতুরাজকে হয়তো পারতো স্বাগত জানাতে, কিন্তু যে ঋতু শিক্ষা দেয় নবপ্রাণে নতুন করে শুরু করার তাকে বেদনার সুরে বরণ করি কীভাবে? গুগল মিটে 'সাপ্তাহিক বন্ধু আড্ডায় ড্যাফোডিল বন্ধুসভা'র বন্ধুদের মনের আকুলতা হয়তো লিখে প্রকাশ করা যাবে না।ক্যাম্পাস বন্ধ, করোনার প্রভাবে জীবনে এসেছে পরাধীনতা, তবুও বসন্তকে বরণ করার তীব্র ইচ্ছে। সকলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক হলো, বসন্তকে বরণ করবো আমরা। হয়তো সশরীরে সম্ভব নয়, কিন্তু প্রযুক্তির যুগে প্রযুক্তির সাথেও তো বসন্তকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেলো সেদিন থেকেই। সাতটি দল তৈরি করা হলো। নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, রম্য, র্যাম্প, উপস্থাপনা এবং অনলাইন ভলেন্টিয়ারিং - সাতটি দলের দায়িত্বে দেওয়া হলো দুই বা দুয়ের অধিক করে দলনেতা। দলনেতাদের মধ্যে ছিলেন উপস্থাপনায় জ্যোতি প্রামাণিক, নাচে তুষার আহমেদ নির্মা এবং সুমা আক্তার, গানে ফারহান জাহিন এবং অনিক সরকার, কবিতায় তানজীম খান নকিব এবং কান্তা দে শৈলী, র্যাম্পে আফিয়া প্রিয়া এবং সোহান সিদ্দিকী। গুগল মিটের মাধ্যমে রিহার্সেল এবং অডিশনের ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হলো সেরা বিষয়গুলো।
সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিডিও তৈরী শুরু হলো। নাচে ছিলো তুষার আহমেদ নির্মা, অরবিতা ইসলাম। কবিতায় সাদিয়া ইসলাম, কান্তা দে শৈলী এবং প্রথম বারের মতো উপস্থাপিত কাব্যনাট্যে ছিলেন ফারিহা মাহমুদ এবং হাবিবুর রহমান। গানে ছিলেন সজীব বসু,বিজন সরকার, নাজমুল অভি এবং অনিক সরকার। রম্যে ছিলেন কাউসার এনাম প্লাবন এবং স্বর্ণা চৌধুরী এবং সবশেষে ড্যাফোডিল বন্ধুসভার একঝাঁক বন্ধুর অংশগ্রহণে ছিলো মনোমুগ্ধকর র্যাম্প শো। ড্যাফোডিল বন্ধুসভার উপদেষ্টা মন্ডলীর পক্ষ থেকে আনোয়ার হাবিব কাজল স্যারের বসন্তের শুভেচ্ছা এবং দিকনির্দেশনার ভিডিও বার্তাও ছিলো অনুষ্ঠানে।
তারপর এলো সেই কাঙ্খিত দিন। অনুষ্ঠানটি ২৬ শে ফেব্রুয়ারি রাত ৮.০০ টায় একযোগে ক্যাম্পাস টিভি, বন্ধুসভা এবং ড্যাফোডিল প্রথম আলো বন্ধুসভার পেজে সম্প্রচার শুরু হয়। আশিকুর রহমান অনিক, জ্যোতি প্রামাণিক, সেতু কবির এবং তানজীম খান নকিব এর উপস্থাপনায় পুরো অনুষ্ঠান ছিলো দারুণ উপভোগ্য। [লিখাঃ তানজীম খান নকিব]
|