Hub
 
Celebration of this Eid Ul Fitr (এবারের ঈদ উল ফিতর)
 

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ঈদ উদযাপনের গল্প

সকালটা প্রতিবছরের ন্যায় সুন্দর ছিলো। মানবজাতি গত প্রায় তিন মাস প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে খেলতে পারেনি বলে। যে মুহূর্ত থেকে জেনেছিলাম আমি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত তখন থেকে সৃষ্টিকর্তার নিকট সুস্থ হওয়ার প্রার্থনা এবং নিজের মনোবল কে শক্ত রেখে সব নিয়ম মেনে চলছিলাম। বছরের দুটো ঈদ হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব । জানা ছিল হয়তো এবার প্রতিবারের ন্যায় ঈদ উদযাপন হবেনা। তবে এটা জানা ছিলো না যে এক ঘরের বাসিন্দা হয়েও আমার মা-বাবা, নানা-নানীকে একটু পায়ে ধরে সালাম করতে পারবো না!,ছোট ভাই-বোনদের সাথে একটু আনন্দ করতে পারবো না। ঘরের মানুষের সাথেও হয়তো কোলাকুলি করা হবেনা । এসব আমার জন্য সত্যিই ছিলো কষ্টের যেই কষ্ট আমি আবার দেখাতেও পারিনি কেননা আমার মা-বাবা পরিবার তো তখন আরো কষ্ট পাবে।

ওহ, আরেকটা কথা তো বলতেই ভুলে গেছি, এক বাসার এক কোণে কোয়ারেন্টাইনে থাকা আমি ঈদের দিনও বাবা-মা পরিবারের সবার সাথে পাশের রুমে কিন্তু ফোনে কথা বলেছি। এর চেয়ে চাপা কষ্ট বোধহয় আর হয় না। পুরোটা সময় বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজন সকলের সাথেই ফোনে কথা বলে এবারের ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে। তবে সবার সাথে এক বৈঠকে খাবার খেতে না পারলেও পোলাও-মাংস কিন্তু ঐদিন আমিও খেয়েছি। এভাবেই কেটেছে এবারের ঈদ তবে চাই না সামনে আর কারো জীবনের একটা ঈদ ও এভাবে আসুক।

মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ জয়

সাধারণ সম্পাদক, ডি আই ইউ কালচারাল ক্লাব

 
 
রঙ- তুলিতে ঈদ

তাজমীম আক্তার আর্থি, শিক্ষার্থী, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ

লুৎফুন্নাহার মাহমুদ ঐশ্বর্য, শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ

 
 
সুখের নয় অসুখের ঈদ

ঈদ হলো নানা আঙ্গিকের আনন্দ বহিঃপ্রকাশের দিন। প্রয়োজনের আনন্দের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় আনন্দ আমাদের আন্দোলিত করে বেশি। ঈদকে আমি তেমন অপ্রয়োজনীয় আনন্দের দিন বলে আখ্যায়িত করতে পছন্দ করি। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করি কোনো নির্দিষ্ট দিন আনন্দ করব। কিন্তু ওইদিন আশা মাত্রই, প্রত‌্যাশানুযায়ী আনন্দটা করা হয়ে ওঠেনা কোনো কারণে আমাদের। আমাদের জীবনে হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো দিন হয়তো বেশি আনন্দ দিয়ে থাকে সবসময়। ঈদকে আমি ওই হঠাৎ ঘটে যাওয়া আনন্দের দিনের সঙ্গে তুলনা করি। এটা একান্তই আমার নিজস্ব ভাবনা। এর সঙ্গে অনেকের দ্বিমত থাকতে পারে। তাতে অসুবিধা নেই। ঠিক তেমনি হঠাৎ বেদনাও আমাদের জন‌্য আর্শিবাদ বয়ে আনেনা। তার ব‌্যথা দীর্ঘদিন তাড়িয়ে বেড়ায় আমাদের। আমরা হঠাৎ আনন্দ নিতে প্রস্তুত, তবে বেদনা নয়! তেমনি এবারের ঈদ আমাদের হঠাৎ বেদনা দিয়ে গেল। এর ক্ষতচিহ্ন কতদিন দৃশ‌্যমান থাকবে আমরা বলতে পারব না। একটি মুহূর্তের জন‌্য কল্পনা করতে পারিনি ঈদের জামাত, বেড়ানো, কোলাকুলি, আড্ডা, দাওয়াত কোনোটাই করতে পারব না আমরা! বাস্তবে তাই ঘটে গেল। কল্পনাই বাস্তবে রূপ নিল। এ যেন সুখের ঈদে অসুখের হানা!

সুজন নাজির

শিক্ষক, আর্ট অব লিভিং 

 
A different celebration of this Eid-Ul-Fitr

Despite all the uncertainties that we are facing due to the Novel Coronavirus crisis, I was eagerly waiting for this Eid-Ul-Fitr, and for me, this celebration was filled with appreciation. I felt grateful more than ever to have my father in my life as I had lost my mother when I was very young. Both my father and I decided to express our gratitude by cooking food for the less fortunate people in our area and distribute it among them. Therefore, the day started with me waking up at 6 am and trying to cook food for some moderate amount of people and my father helped me in every way possible. We had distributed the food with the help of two generous men who were in charge of the security in our area. In the evening, I was blessed with the opportunity to meet my cousins after four and a half months and we were all appreciative of each other more so. I had felt the grace of Almighty wholeheartedly on that day and I will cherish this special Eid for a long time.  

Ayman Anika

Student, Department of English

 

আমার শব্দগুলো প্রিয় মানুষদের সুস্থতা কামনা করে

ঈদের অভিজ্ঞতা জানাতেই কম্পিউটারের কিবোর্ডের অক্ষর খুজঁতে বসেছি । আমি যে ছবিটি আমার লিখার সাথে যুক্ত করেছি ঠিক তেমনি ছিলো এবারের ঈদের দিনটি, বিশ্বের এই মহামারী পরিস্থিতিতে ঈদের আনন্দ ছিলো দিগন্তের কোণে, এক অল্প সোনালী রেখার মতো।

এবারের ঈদের সকালটি ছিলো মুঠোফোনের কাঁচের পর্দার আড়ালে, নানুর মুখের মায়া ভরা হাসি আর চোখে দূরত্বের ব্যবধান মুছে দেওয়ার অশ্রু।

কিন্তু সেদিন একটা কথা মাথায় খুব ঘুরপাক  খাচ্ছিলো, আবু জাফর ওবায়দুল্লার "মাগো, ওরা বলে” কবিতায় - খোকার মা যেমন খোকার জন্য কত কিছু বানিয়ে অপেক্ষা করছিলো, ঠিক তেমনি আমার নানুও ফোন দিয়ে কান্না কান্না গলায় বলছিলো মুড়ি - গুড়ের পায়েস সব বানিয়ে তোমাদের অপেক্ষায় আছি। আশায় আছি পৃথিবী সুস্থ হলে নানুর হাতের গুড়ের পায়েস খাবো।

লাবণ্য পারভীন আরিফা

শিক্ষার্থী, মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ আর্টস

 

 
The Window View

Lutfun Naher Mahmud Oysharja

(Student, Department of English)

Feel the serenity,

since, you can see,

Gaze the scenery,

Grasp the beauty,

Hold the grace, the comeliness,

Bliss in the heart.

Indeed you cannot touch the nature!

The imperceptible hush pleasure!

I thought it spring,

But, the reality revealed,

It was winter and it is.

While life is not an art paper,

How can one paint Spring forever!

Grope the tranquility inside the fog blur,

Dryness has hidden pleasure,

Feel the beauty of winter.

 

 
Eid Memory (স্মৃতিতে ঈদ)
 
Noteworthy Eid reminiscence

To be honest, every Eid of my life has been fabulous. I would care less about the bad incidents attached with it. Spending time with family and friends unexplainable sweet moment. Helping my mom, doing chores, giving her compliments, exciting about to finish my bucket list which I have planned for. Getting up early in the morning was tormenting but it used to worth it. Spending all day enjoying and trying to capture those moments in a box which doesn’t swayed away by thousand waves. It reminds me,

Life is too deep for word, so don’t try to describe it, just live it - C.S Lewis.

Sometimes my friends used to visit my home. Playing indoor games, act like tomorrow doesn’t exist. Listening to everyone’s story from different ways having more like life talks. I treasure these moments, that cant be captured in photos like that with feelings but with pleasuring eyes. This will be my shover, whenever I go in pieces it will collect me up to keep going till the end.

Halima Tus Sadia

Student, Department of English

 

স্মৃতিতে ঈদ

প্রিয়নাথ প্রামানিক, শিক্ষার্থী, ইংরেজী বিভাগ

কথা লিখছি শৈশবের। আমি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী হলেও সে সময় ঈদ আমার কাছে পূজার চেয়েও বেশি আনন্দের ছিলো। আমার বন্ধুদের প্রায় সকলেই মুসলিম হওয়াটা এর একটা কারণ হতে পারে। তখন আমি ঈদের আগে অপেক্ষা করতাম ঈদ কার্ডের জন‌্য।  ঈদের আগে শপিং করতাম। ঈদের দিন বন্ধুরা তাদের নামাজ সেরে আমাকে ডেকে নিত। এরপর সমগ্রদিন তাদের সাথেই খেলাধুলা, ঘোরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া। সে সময়ের ঈদের দিন আমার জন্য ছুটি বরাদ্দ থাকত। এমনও হয়েছে ঈদের দিন পাঞ্জাবি পরে বন্ধুদের গ্রামে গেছি। এই বয়সে ঈদের সেই দিনগুলোকে মিস করি। বিশেষ করে বন্ধুদের লিখা ঈদ কার্ড, ঘোরাফেরা। সম্ভব হলে আবারো সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে চাইতাম এই ভার্চুয়াল ঘেরা জগত থেকে।

 

আমার ঈদের স্মৃতি

ফারহান এজাজ, শিক্ষার্থী, ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ বিভাগ   

ঈদের আনন্দটা শুরু হত চাঁদ রাত থেকেই। ইফতার করেই চাঁদ দেখার জন্য ভৌঁ-দোড় দিতাম সব ভাইবোনেরা মিলে। তারপরই শুরু হতো পটকা ও তারাবাতি নিয়ে লাফালাফি। তারাবাতির আলো আর পটকার শব্দে মনে হত ভিন্ন কোন জগতে আছি আমি। অন্যদিকে বড় আপারা আর পাশের বাড়ির ফুপিরা মিলে করত মেহেদী উৎসব , হাসি ঠাট্টায় ভরে উঠত পুরো উঠোন। মা-চাচীমা মিলে ঈদের আগের রাতেই বিভিন্ন খাবার রান্না করে রাখত। যৌথ পরিবারের সবাই মিলে ঈদের একটা দিন একসাথেই রান্না হতো। ফিরনি-পায়েশ-ঈদের নতুন জামার গন্ধ ছাড়াও ঈদের আলাদা একটা গন্ধ নাকে এসে ধরা দিত আমার।

প্রায় ঈদের দিন সকালে ঘুম ভাঙত হাতে মেহেদী নিয়ে। ঘুমে থাকতেই কখন বড় আপা হাতে মেহেদি দিয়ে দিয়েছে না জানিয়েই। তারপর এ নিয়ে কপট রাগ ভাঙত ঈদের সালামী পেয়ে। নামাজ শেষে কোলাকুলি, কবর জিয়ারত,মেহমানদের নিয়ে ব্যস্ততা এগুলো নিয়েই কেটে যেত ঈদের দিন রাত। আর আগে তো ঈদের আমেজ পুরো সাত দিন লেগে থাকত।

 
Eid in abroad (প্রবাসে ঈদ)
 
করোনা ঈদের স্মৃতিঃ আমার প্রতিবারের গতানুগতিক ঈদই আনন্দের

ঈদ নিয়ে যখন বলতাম, ‘এবারের ঈদটাও গতানুগতিক ভাবেই পার করে দিলাম, নতুন কিছুই ঘটেনি।’ হয়তো ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি, গতানুগতিক ধারণার বাইরের ঈদ এভাবে হতে পারে। প্রবাসের ঈদ সব সময়ই কিছুটা আলাদা ব্যপার হলেও, ‘করোনা-ঈদ’ ঈদের আনন্দকে এভাবে ম্যাড়ম্যাড়ে করে দিতে পারে সেটা ছিল কল্পনাতীত।

বাস্তব যেমন গল্পকেও হার মানায়, এবারের ঈদের ‘আনন্দ’ ছিল সেরকমই। প্রবাসে ঈদটা যে ‘অন্যরকম’ হবে সেটা জানতাম প্রায় বছরখানেক আগে থেকেই। ঈদের সকল পরিকল্পনাকে কোনো হাতি-ঘোড়া নয়, বরং সে আনন্দে পানি ঢেলে দেয় এক বিদঘুটে ভাইরাস।

তবুও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করায় দেশী-বিদেশী বন্ধুদের নিয়ে ঈদের দিনটি একেবারে খারাপ যায়নি। তবে, নিজেরা নিরাপদে থাকলেও সবারই মন পড়ে ছিল যার যার বাড়িতে। হাসিমুখে আমরা বাঙ্গালীরা একসাথে দেখা ও খাওয়াদাওয়া একসাথে করলেও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা ও প্রবল মানসিক পীড়ার ছাপ ধরা পড়ে সবার চোখেমুখেই।

আর আমার ঈদ! মায়ের পায়ে ধরে সালাম করার সময়, মাথার ওপর ছিলনা মায়ের হাতের আশীর্বাদের স্পর্শ। 

আফতাব হোসেন

জ্যেষ্ঠ প্রভাষক, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ,

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

পিএইচডি গবেষক, ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স, মালয়েশিয়া

 
Celebration of this Eid Ul Fitr (এবারের ঈদ উল ফিতর)
 

Eid, it is the word that brings happiness even if we utter for once. Seems like a broad picture can be visualize just mentioning the word.

Unfortunately, my Eid 2020 was totally different from last Eid days because we never stay home on Eid day. For pandemic situation we had to stay home. So me and my sister-in-law attempted to cook many traditional dishes at home. Bhabi was the main chef and I was her assistant. We had to take preparation for these from the “chand rat” so it was quite a hectic day for us on the last day and the Eid day. As we never cooked at home on this day so food was the only excitement that day. We cooked noodles, chicken fry and payesh for breakfast and ilish fry, pulao, chicken roast, shrimp gravy, beef kala bhuna, kabab for lunch and fuchka and chotpoti for afternoon snacks. Besides food, we chat with friends and relatives online so that was a different experience too.

Khadiza Begum

Student, Department of Multimedia and Creative Technology

 

এবারের ঈদ-উল-ফিতর

আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো ২টা, যার একটি ঈদ উল ফিতর। ঈদ মানে খুশি, আনন্দ হৈ চৈ ইত্যাদি। ঈদ মানে ঈদের আগের দিন চাঁদ দেখে হাতে মেহেদী দেওয়া। সবাই মিলে হাসা-হাসি, চিৎকার আরো কত কি! ঈদের দিন নামাজ পড়া, বড়দের থেকে সালাম করে সালামি নেওয়া, কোলাকুলি করা, ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি। ঈদের খাবার সেগুলো শুনলেই মুখে জল চলে আসে। সেমাই, মিষ্টি, দই, পোলাও, মাংস, চটপটি, ফুসকা ইত্যাদি।

কিন্তু এবারের ঈদ আমাদের জীবনে কিছুটা ভিন্ন এবং কষ্টদায়ক ছিল। এবারের ঈদের কোনো খুশি ছিলনা। ছিলনা কোনো চিৎকার হৈ চৈ । শুধু ছিলো হাহাকার। সবাই দুরত্ব বজায় রেখেছে। এইবার ঈদের দিনে সকলে মিলে একসাথে ঈদের দিনের নামাজ তাও পড়তে পারিনি। কেউ কোলাকুলি করেনি। দূর থেকে শুধু সালাম বিনিময় হয়েছে। সালামি শুধু বাবাই দিয়েছে। আর বলেছে, সালামি রেখে দাও, কোথাও যেওনা। পাশের মানুষগুলো কে কেমন আছে সেটাও জানতে পারিনি। কারো বাসায় তাদের খোঁজ নিতেও যেতে পারিনি। এবারের ঈদে কোনো বাজার ছিলনা। ছিলনা কোনো বেলুন, বাঁশি, খেলনা ইত্যাদি। এবারের ঈদে বাসায় কোনো আপনজন, কোনো মেহমান আসেনি। এবারের ঈদটা সারাদিন বাসায় বসেই কেটেছে। মায়ের মনটাও ভালো ছিলনা, সংসারের সংকটে কিছু রান্নাও হইনি। আর এই সবকিছুর জন্য দায়ী মহামারী এই করোনা।যা সারা বিশ্বকে নিস্তব্দ করে রেখেছে।

এখন শুধু সবাই মিলে প্রার্থনা করছি, আল্লাহ যেন আমাদের এই মহামারী থেকে রক্ষা করেন। এমন ঈদ যেনো পৃথিবীতে আর কোনোদিনও না আসে। আমরা যেনো আবার সুস্থ ভাবে আনন্দের সহিত ঈদ উদযাপন করতে পারি।

ফওজিয়া আকতার ঝরা, শিক্ষার্থী, ইংরেজী বিভাগ

 

This Eid

Eid-ul-Fitr 2020 is a little different from every year. The reason for this is COVID-19. The world is at a standstill today for Covid-19, and for this we have to stay at home, we will be healthy if we stay at home. Our country will be healthy. That's why this year's Eid has been spent under house arrest! We spent Eid in a beautiful way at home, with our family.

One of the things that is very positive about this year's Eid-ul-Fitr is that I have been able to give a lot of time to my mother. I have been able to help her cook, do all the works with her, this time Eid chat was all about my mother. Mom was much happier eating the pies we made. I have heard stories on the day of Eid, how my mother used to spend Eid on her childhood, what she used to do on Eid day. 

Another interesting thing about this year's Eid is the online campus chat. This year, I am a new student of Daffodil International University. We have never seen each other face to face, yet we have become so attached to the teachers online. Being a new student, I like the idea of communicating with everyone online, even from a far looks like we're all very close. Many thanks to our dear teachers for ignoring this COVID-19 and keeping in touch with us.

Azmin Akther Mimma

Student, Department of English

 
মেঘ বৃষ্টির এবারের ঈদ

মেঘ বৃষ্টি তাদের প্রথম ঈদ করবে চিম্বুক পাহাড়ে। যেখানে তাদের বাবা দাড়িয়ে আর শীতল পানির ঝর্নার মতো মা। হঠাত করেই করোনা নামক এক বাজ পড়লো। তাদের আটকে দিল চার দেয়ালের মাঝে। ঈদ করতে যাওয়া হলো না তাদের। আর চিম্বুক পাহাড়ে, ছুয়ে দেয়া হলো না ঝর্নার মতো মাকে। প্রতি ঈদের মতো মেঘ আর, বাবার সাথে ঈদের নামাজ শেষে মায়ের হাতের পায়েস খেতে পারে না। হয়না মায়ের পা ছুয়ে সালাম করা। এবার ঈদের সকাল শুরু হয়  ভিডিও কলে মা বাবাকে দেখে আর বৃষ্টির হাতের রান্নায়।

কোথায় কেউ নেই। তালটা কেটে গিয়েছে৷ এবার তাদের স্বপ্ন  ভিডিও কলে থমকে ছিল। এই শহরে মেঘ বৃষ্টির আটকে পরা গল্পটা কাল্পনিক হলেও করোনা নামক বজ্রপাত সত‌্যই অনেকের স্বপ্ন এবার বাড়ি যেতে দেয় নি। তবে, ঈদের খুশি তাদের জন্য এটাই ছিল যে- স্বপ্ন বাড়ি না যাক। ভালো থাকুক চিম্বুক পাহাড় আর শীতল ঝর্না। তাই এবারের ঈদের খুশি, ‘স্বপ্ন যায় নি বাড়ি আমার, ভালো থাকুক প্রিয় মানুষগুলি সবার।’

ইমরান খান, রিসার্চ এসোসিয়েট, ইংরেজী বিভাগ 

 

জীবন অসম্ভব সুন্দর

উত্তরের কোণা ধরে হু হু বাতাস! সামনের নারকেল গাছের পাতাগুলো কাঁপছে। অদ্ভুত এক শব্দ। বাতাস এসে গায়ে, মুখে লাগলো। কপালের উপর পরে থাকা চুলগুলো উড়ছে। বারান্দার দেয়ালে পা ঠেঁকিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছি। সারা দিনের এ সময়টাতেই কখনো কখনো বারান্দার ইজি চেয়ারটা ফাঁকা পাই। গত দু"তিন মাস ঘুম হয় না। ঘুমাতে পারি না।

বসে থাকি,,,,,,,,,,। অন্ধকারে কত রকম শব্দ কানে আসে। হঠাৎ পুকুরে শব্দ হয়, সন্তর্পণে সেই শব্দও কানে আসে। গভীর মনোযোগ দিয়ে ভাবি,, প্রতিটা পরিবারের সকল সদস্য সুস্থ আছে তো। পরিবার আর আত্মা তো একই জিনিস। শেষ কবে আমরা বাসার সবাই একসাথে খাবার টেবিলে বসে আনন্দ নিয়ে খাবার খেয়েছিলাম মনে নেই। ‘করোনাকালীন’ আজকের এই দিন, পুরো পৃথিবীটাকে কেমন যেন উলোটপালোট করে দিল। কি ভীষণভাবে আমাদের সবাইকে অনিশ্চয়তার দোলায় দুলিয়েই যাচ্ছে!! প্রানের মানুষগুলোকে আলাদা রাখছে। আমাদের কেমন স্বার্থপর করে দিচ্ছে প্রতিনিয়তই।

আকাশে তাকাই। পরিষ্কার আকাশ। অজস্র তারা। মনে পড়ে, আজ চাঁদরাত। অথচ চাঁদ দেখা নিয়ে কারো মধ্যে কোন রকম উত্তেজনা নেই। প্রতিবছর এসময় হুরোহুড়ি লেগে যায়। আম্মুর জন্য হলেও টিভি ছেড়ে বসে থাকতে হয়, "রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ" গানের জন্য। এই গান না শুনলে আম্মুর নাকি ঈদ হয় না। এবার আম্মুর মন প্রচন্ড খারাপ। ফুপিয়ে কাঁদছে। চোখ লাল হয়ে আছে। মেজোটা আসতে পারে নি, বোনটা আটকা পড়ে আছে ঢাকায়। লকডাউনে সমস্ত কিছু যেন থমকে গেছে। গাড়িও চলছে না।

জীবন যেন থমকে আছে। সবই আছে কেবল আনন্দই নেই। আগামীকাল ঈদ এটা মনে করতেই চোখের সামনে গতবছরের স্মৃতি ভেসে উঠছে। আমি বরাবরই ভীষণরকম আবেগপ্রবন একজন মানুষ। কান্না পাচ্ছে। গতবছর প্রিয় মানুষোটিকে কথা দিয়েছিলাম এবারের ঈদ আমরা একসাথে করব। বিয়ের পর এটাই আমাদের প্রথম ঈদ, অথচ আমরা দু’জন দুদিকে। দুঃখ ভুলে গেলাম যখন মনে পড়ল সহকর্মী কেউ কেউ তার আপনজনকে রেখে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে ঈদ করছে। আহারে!!! মনের মধ্যে না জানি কি হচ্ছে তাদের।

 

আমার চাচী অপেক্ষা করে আছে সিডনিতে, ছোট চাচা মেলবোর্নের এক হোটেলে কোয়ারেন্টিন টাইম পার করছে, বেচারা বাংলাদেশে এতোদিন আটকে থেকে মাত্র সপ্তাহখানেক আগে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছাতে পেরেছে। চাচী আগেই যেতে পেরেছিলেন। এতো বছরে এটাই বোধহয় তাদের একলা ঈদ। ভাবতে পারছি না, রাতটা ফুরালেই ঈদের দিন । এ যেন এক অন্যরকম ঈদ। আনন্দহীন!! রঙহীন! অনেক কিছুই যেন পারার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। কথা দিলে কথা আমি রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু পারছি না। করোনাকালীন সময় আমাদের অনেক কিছুই পারতে দিচ্ছে না।

ঠিক যে মুহুর্তে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো থাকার কথা, আনন্দে থাকার কথা, সে মুহুর্তে আমি কঠিন অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। আমি জানি এ মুহুর্তে ভেঙে গেলে চলবে না। আমাকে শক্ত থাকতে হবে। কঠিন মনোবল ধরে রাখতে হবে। আজকের এই সময়টায় হয়তো আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে অদৃশ্য এক ভাইরাসের সঙ্গে। সকাল বিকাল নানা রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছি। সব কিছু হারিয়ে গেলেও প্রিয়জনের থেকে দূরে সরে যাওয়া, পারস্পরিক-সামাজিক সম্পর্ক, সৌহার্দ্য-ভালোবাসা হেরে যাবে! জীবন কি এতোটাই অসুন্দর!

এই করোনাকালের মেয়াদ শেষ হবে নিশ্চয়ই। অবশ্যই ঘাত.
  ক ভাইরাসকে আমরা নিয়ন্ত্রণে আনব। পৃথিবী আবার আগের মত হবে। শত সহস্র মাইল দূরে আটকে থাকা প্রিয়জন ফিরে আসবে প্রানের মানুষের কাছে। আমার প্রাণপ্রিয় ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে আবারো গিয়ে বসব, সে নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকবো। মায়ের হাতের এক লোকমা ভাত, প্রিয়জনকে দেওয়া কথা রাখতে, আমাদেরকে সুস্থ থাকতেই হবে।

অপেক্ষার সময়টা দীর্ঘ হলেও আশা নিয়ে বসে আছি,,, অবশ্যই এর পরের ঈদ আমরা একসাথে করব ইনশাআল্লাহ্‌। অন্তত সহকর্মী সবার সাথে আরো একটাবার দেখা হবে। কারো বিরুদ্ধে মনের মধ্যে আর কোন রাগ নেই আমার। ঠিক এই মুহুর্তের অনুভূতি বলছে, যার উপর সবচেয়ে বেশি রাগ ছিল, তাকে পেলেও জড়িয়ে ধরে বলব, জীবন ছোট! বেঁচে থাকা পরম আনন্দের। অন্তত এই দূরত্ব না এলে তো জানতামই না, কাকে কতখানি ভালোবাসি। জীবন যেমন প্রিয় মানুষের জন্য অস্থির। তেমন অপ্রিয়দের ছাড়াও চলে না। শুধু অপেক্ষা! এই বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা, জীবন সুন্দর!!

ফারহানা হক

অ্যাসিস্ট্যান্ট কোঅর্ডিনেশন অফিসার

ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সাইন্সেস

 
 

পৃথিবীর প্রাচীন শহর গুলোর মধ্যে এটি একটি।
এখানে আগে এত সবুজ ছিল না,
ছিল না পাখির ডানা ঝাপটানো শব্দ,
ছিল শুধু অলিতে-গলিতে মানুষ আর মানুষ,
মানবের কোলাহল এ ছিল পরিপূর্ণ।
কিন্তু
এখন এসবের আর দেখা মিলে না,
এখন শহর জুড়ে শুধু নিস্তব্ধতা,
চারদিকে কিসের জেন হাহাকার।
গলির মোরের লুচির দোকান গুলো ও এখন বন্ধ,
গলিতে এখন ছেলেপুলেদের কলরব শোনা যায় না
শহরটা কি মরেই গেল???

পুরাতন বইয়ের দোকানের,
পুরাতন সিলিং ফ্যানের ক্যচ ক্যচ শব্দে
এখন আর কাংখিত বই খুজে পাওয়ার।
আনন্দ দেখতেও মিলে না।
চারদিকে গোমট নিঃস্তব্ধতা।
মুশলধারের বৃষ্টি এখনো হয়।
ঝুম করে নেমে শহরটাকে নাইয়ে দিয়ে যায়।

কিন্তু
সেই ঝুম বৃষ্টির পর ছেলেপুলেদের মাঠে খেলতে দেখা যায় না।
শান্ত কিশোরীর অমায়িক চোখের চাহনিও আজ মিলে না,
ক্লান্ত শহরের মানুষের ঘরে ফেরার তারা
ও আজ চোখে পরে না।
শুধু দেখা মিলে কোন এক ছাদে কোন মানবের পূর্নিমা দেখার দৃশ্য...

কবিতা পাঠেঃ মিম রহমান অতি, শিক্ষার্থী, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
পরিচালনায় ও লেখাঃ হুমায়রা আহম্মাদ, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ

View full video
 
 
 
Psychologist's Corner
ps1
ps2

ওসিডি (অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার ) হতে পারে করোনা পরবর্তী সময়ের একটি মানসিক সমস্যা

করোনা পরবর্তী সময়ে যে মানসিক সমস্যাগুলো বেড়ে যেতে পারে  তার মধ্যে ওসিডি অন্যতম । ওসিডি একটি উদ্বেগজনিত বিকৃতি যাতে ব্যক্তির  মনে একটি চিন্তা বা ছবি বারবার উপস্থিত হয়ে থাকে এবং ব্যক্তি  শত চেষ্টা করেও এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না যা তার জন্য খুবই অস্বস্তিকর। আবার  এই চিন্তা দূর করার জন্য ব্যক্তি একটি কাজ বারবার করতে থাকে যা তার  দৈনন্দিন জীবনের উপর বিভিন্ন রকম নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সাধারনত কোন একটি  পীড়নমূলক ঘটনার পর থেকে এই বিকৃতিটি  শুরু হয়। তাছাড়া মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক উপাদানের অসামঞ্জস্যতা, বংশগতির প্রভাব অথবা যারা  খুবই পারফেকশনিস্ট, তাদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। এই রোগের বেলায় ব্যক্তির মনে সাধারনত যেসব চিন্তা বারবার আসে সেগুলোর  মধ্যে নিম্নলিখিত  চিন্তাগুলি (অবসেশন)প্রধানঃ

১। সব সময় রোগ সংক্রমণের ভয় বা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ভয় ২। ধর্মীয় ভাবে নিষিদ্ধ কোন কাজ করে ফেলবে বা ফেলেছে ৩। কোন অবৈধ যৌন ক্রিয়া বা আক্রমনাত্মক কাজ করে ফেলবে ৪।  শরীরের কোন অঙ্গ  ক্ষতিগ্রস্ত হবে  ৫। কোন কাজ নির্দিষ্টভাবে বা নিয়ম অনুসারে করতে হবে ইত্যাদি। 

পৌনঃপুনিক  চিন্তাগুলির ফলে সাধারণত যেসব কম্পালসিভ বিহেভিয়ার মানুষের মধ্যে দেখা যায় সেগুলো হলোঃ  ১। বারবার হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বাতিক ২। কোন বিশেষ জিনিস এড়িয়ে চলা ৩। কোন দোয়া/যাদু মন্ত্র বারবার পাঠ করা / তাবিজ কবজ স্পর্শ করা ৪। কোন জিনিস সঠিকভাবে করা হয়েছে কিনা তা বারবার পরীক্ষা করে দেখা।

করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণের রোধে এখন আমাদের মধ্যে সচেতনতা মূলক  হাত ধোয়ার  মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ এই হাত ধোয়ার হার নিয়ন্ত্রন করতে পারে এবং এর মাত্রা থাকে যৌক্তিক পর্যায়ে কিন্তু ওসিডি তে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত ধোয়ার হার অযৌক্তিক এবং ব্যক্তি সে বিষয়ে সচেতন থাকেন কিন্তু নিজেকে বিরত রাখতে পারেন না। করোনাকালীন কেউ যদি তীব্র নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন  হয়ে থাকেন তবে তার  এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

অবসেশন ও কম্পালশন যদি কারো ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং পেশাগত জীবনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, এর পিছনে যদি প্রতিদিন এক ঘণ্টার বেশি সময় অতিবাহিত হয় এবং এই  লক্ষণগুলো অন্য কোন শারীরিক ও মানসিক রোগ দ্বারা ব্যাখ্যা করা না যায়, তাহলে আপনি এ রোগের ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। এ রোগের ক্ষেত্রে দুই ধরনের ট্রিটমেন্ট  নিতে  হয় : সাইকিয়াট্রিস্ট এর পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ এবং সাইকোলজিস্টের কাছ থেকে সাইকোথেরাপি (এক্সপোজার থেরাপি, রিলাক্সেশন থেরাপি, রেসপন্স প্রিভেনশন, এভার্শন থেরাপি ইত্যাদি) খুবই কার্যকর।

লেখক: মোঃ আবু তারেক, সাইকোলোজিস্ট, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

 
Upcoming Events
 
VJF
osf
 
diu
 

Copyright© 2020
Office of the Director of Students' Affairs,
Daffodil International University.
All rights reserved.

 

 Facebook  Web  Linkedin  Youtube

Cover photo by: Lutfun Naher Mahmud Oysharja, Student, English Department

Editorial: Muhammad Sajidul Islam, Lecturer and Coordinator (PC), DSA Office

E-Newsletter Designed and Published by: Fahmi Hasan, Administrative Officer, DSA Office

Special Thanks to:  DSA Team & DIU Web Team