আলো যত বেশি উজ্জ্বল হয়, মেলাটোনিনের উৎপাদন ততটাই কমে।ঐ গবেষণার জ্যেষ্ঠ গবেষক, মনোরোগবিদ্যা ও মনুষ্য আচরণবিদ্যার অধ্যাপক মেরি সারস্কাডন বলেন, “রাতে সামান্য আলো যেমন: স্ক্রিনের আলো ঘুমের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার জন্য যথেষ্ট।” ভাল ঘুমের জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা জরুরি। এই নিয়ম কানুন মেনে চললে আপনার ঘুমের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে। যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা কয়েকটি ধাপে নিয়ম মেনে চলতে পারেন।
ক। দিনের কাজ ১। কোন ভাবেই দিনের আলোতে ঘুমাতে যাবেন না। আর দিনে ঘুমালে আপনার ঘুমের চাহিদা কিছুটা কমে যায় ফলে রাতে ঘুম আসতে দেরি হতে পারে। ২। বিকেলের পর আর চা বা কফি পান করবেন না। এগুলিতে এমন উপাদান আছে যা রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ৩। দিনে আধঘণ্টা বা এক ঘণ্টা ব্যায়াম রাতে আপনাকে ভালো ঘুম এনে দেবে।
খ। রাতের কাজ ১। রাতে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে আপনার ডিনার শেষ করুন ২। ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে নিজেকে যে কোন স্ক্রিন থেকে বিরত রাখুন। ৩। নিজের সাথে কথা বলুন যে একটু পর আমি ঘুমাতে যাব /এখন আমি ঘুমাতে যাচ্ছি। এটা আপনার ব্রেইন কে ঘুমের জন্য পজিটিভ মেসেজ দিবে ও ঘুমের জন্য রেডি করবে। ৪। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ খেতে পারেন। ঘুমের জন্য এটা ভাল। ৫। এমন ভাবে টাইম ম্যানেজমেন্ট করবেন যাতে আপনার সব কাজ ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘন্টা আগে শেষ হয়।
গ. সাধারণ কাজ ১। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাবেন এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠবেন। দৃঢভাবে আপনি এই নিয়মটা অনুসরণ করুন। ২। ঘুম ছাড়া কখনই অন্য কাজে আপনার বিছানা ব্যবহার করবেন না। বিছানায় শুয়ে কোন এক্সসাইটিং মুভি বা ভিডিও দেখবেন না। ৩। অন্ধকার এবং শব্দমুক্ত রুমে সহনীয় তাপমাত্রা আপনি ঘুমাতে যেতে পারেন |