E-newsletter Hub
 

Respect to those who have lost their family members during COVID-19 (Coronavirus) pandemic worldwide and still are fighting COVID-19 

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) মহামারীতে যারা স্বজন হারিয়েছেন এবং এখনও যারা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাদের সহমর্মিতা ও সম্মান জানাই।

 
করোনাকালে কী করছি?
আমি রিশাদ বলছি...

আল্লাহর রহমতে সকলের দোয়ায় ভাল আছি। দেশের এই দূর্যোগময় অবস্থায় কোভিড-১৯ এর কারণে বিরাজ করছে মহামারি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা সবাই নিজ বাড়িতে অবস্থান করছি। যা নিরাপত্তার জন্য সত্যই খুব দরকার। ঘরবন্দি সময়ে পরিবারের সঙ্গে সময় যাপনের পাশাাপাশি নামাজ-রোজাসহ নানা ইবাদাত চালিয়ে যাচ্ছি। নিয়মিত অনলাইনে ক্লাশ করছি। পড়াশোনার সঙ্গে সমানতালে অনলাইনে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি হরদমে। মহামারির জন্য এমন কার্যক্রম প্রায় দুমাস ধরে অনলাইনে চালিয়ে নিচ্ছি আমরা। এমতাবস্থায় প্রাণের ক্যাম্পাসকে চরম অনুভব করছি। মনের কোণে বারবার উঁকি দিচ্ছে ক্যাম্পাসের গান, আড্ডা, ঘোরাঘুরিসহ নানা স্মৃতি। ভ্রমণ করা আমার প্রাণের শখ। তাই সবচেয়ে বেশি মিস করছি এই অভিজ্ঞতাকে। ভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে অন্যরকম মেলবন্ধন তৈরি হয়। যা দৃশ্যমান কোনোকিছু দ্বারা পরিমাপ করা সম্ভব নয়! আমার ভ্রমণের বিভিন্ন স্থান যেমন, কক্সবাজার, রাজশাহী, সিলেটের নানা স্মৃতি ধাক্কা দিচ্ছে মগজে মননে। এছাড়া দেশের বাইরে সিকিমের সাতটা দিন ভ্রমণের স্মৃতি তাড়া করে ফেরে বারবার আমায়। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। একমাত্র সচেতনতাই পারে কোভিড-১৯ বিতাড়িত করতে পৃথিবী থেকে। ‘ঘরে থাকি নিরাপদে থাকি’ এটাই আমাদের স্লোগান।

লেখকঃ শাহেদুল ইসলাম রিশাদ, 
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং

সভাপতি
সারথি, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব

 
‘আর কোনোদিন বলো দেখবো কী নতুন সকাল?’

বাসার সঙ্গে বাইরের দৃশ্যমান সকল আদান-প্রদান বন্ধ রেখেছি। বাকি আছে শুধু দুধের বোতল ও দৈনিক প্রত্রিকা। গোয়ালা দরজার সামনে দুধের বোতল রেখে কলিং বেল চেপে চলে গেলে বোতলটি ভালো করে পরিস্কার করি রোজ। ভেবেছিলাম, যেহেতু পত্রিকা জীবানুনিরোধ করার সুযোগ নেই, বন্ধ করে দেব। শেষতক, নোয়াব কর্তৃক পরিবেশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যে আশ্বস্ত হয়ে সেটি করা হল না। এখন অনলাইন ক্লাস ও অফিসিয়াল কাজের বাইরে যেটুকু অবসর-সেই অবসরের সঙ্গী এই পত্রিকা, কবিতার বই আর দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র।

দুর্দিনে কবিতার বই অনন্য, কবিতা মনের পটে ছবি এঁকে চলে। বাইরের আলো-বাতাস থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনে লালন, মির্জা গালিব, রুমি ও রবীন্দ্রনাথ পড়ছি। উল্টেপাল্টে দেখছি বাইরের দুনিয়া, প্রেম ও প্রকৃতি।

বসে থেকে থেকে যেন অল্প কয়েকদিনেই পায়ে শেকড় গজাতে শুরু করবে। লতাপাতার মত বাইতে শুরু করেছে মাথার চুল-কান ও কাঁধের এপাশে-ওপাশে। এই সময়ে খোলা বাজারে পা ফেলার সুযোগ নেই। মানুষে মানুষে ধাক্কাধাক্কি, লোকের মুখে মাস্ক নেই, নূন্যতম তিনফুট দূরত্ব নেই, যত্রতত্র থুথু পড়ছে। শুক্রবার জরুরি প্রয়োজনে বেরিয়ে শপথ করেছি, প্রয়োজনে সেদ্ধভাত, তবু বাজারে নয়।   

লোকালয়ে মারী, মড়ক ও মনন্তর আসছে। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে বিভিন্ন দেশের শুধু সরকারি হিসেবেই ১০ মে পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলছে, ‘পৃথিবীতে প্রতি ৫ কর্মজীবীর ৪ জনই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন করোনা প্রকোপে। কারো আয় কমবে, কেউ চাকুরী হারাবে।’ খাদের কিনারে রয়েছে দিনমজুর শ্রেণি। সাহায্যের আশায়, একটু খাবারের আশায় রোজই পথে নামছে ক্ষুধার্ত মানুষ। খোরাকির শত্রæ হয়ে এসেছে লকডাউন। 

২০০৪ সালে ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সুনামিতে ১৪ টি দেশে ২ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় উঠে আসে প্রকৃতির তৎপরতার বিপরীতে মানুষের অসহায়ত্বের গল্প। ‘দেখছিলাম সাগর ধেয়ে আসছে, আমরা ঈশ্বরের কাছে সাহায্য চাইলাম, ঈশ্বর আমাদের অল্পই সাহায্য করলেন।’

অসময়ে অসহায়ের ঈশ্বরই সহায়। পরিবারসমেত অধীর অপেক্ষা নিয়ে বসে আছি। আক্ষরিক অর্থেই ঘরের চৌকাঠে বন্দি থেকে আশা দেখছি নতুন সকালের। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, এই শহরের অলিন্দে প্রাণের বন্যা বইবে ফের। ফুসফুস ভরা হাসি নিয়ে দেখবো নতুন সূর্যোদয়।

লেখক: সাজেদুল ইসলাম সজল, প্রভাষক, আর্ট অব লিভিং, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

 
সৃজনশীলতায় শিক্ষার্থীরা 
সংকটকালে মানবিক বুদ্ধিদীপ্ত আচরণ কাম্য

- সাইফুল্লাহ খালিদ, ফাহমিদা তিশা ও শোয়েব আলম

শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং স্যোশাল বিজনেস স্টুডেন্ডস ফোরামের সদস্যবৃন্দ

এখন আর আগের মতো কেউ দিন-তারিখের হিসাব কষে চলছেন না। দিন ও রাতের মধ্যে পার্থক্য অনেকখানি কমে এসেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বেশির ভাগ মানুষই ঘরে বসেই সময় পার করছেন। কখন দিন পেরিয়ে রাত নামছে, রাত পেরিয়ে দিন—বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে, যেন আজীবনের মতো আমরা বন্দী হয়ে গেছি।

 

আরও পড়ুন
 
তুমি আমার বীর

অনুবাদ: লুৎফুন্নাহার মাহমুদ ঐশ্বর্য

শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

সারার কাছে তার মা একজন বীর। কারণ তার মা যেমন একজন আদর্শ মা সেই সাথে একজন বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী। কিন্তু সারার মা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারছেন না।

সারা মা কে জিজ্ঞেস করলো 'কোভিড-19 দেখতে কেমন?'

মা বললেন, 'কোভিড-19 বা করোনা ভাইরাস এতটাই ছোট যে আমরা তাকে দেখতে পাই না।'

 

আরও পড়ুন
 
এসময়ের ভাবনা
করোনাতে দুর্লভ ঈদ আনন্দ’

জীবন অনেক সুন্দর, জীবনে ঘুরে আসে অনেক সুন্দর দিন যা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রভাব বিস্তার করে, আমাদের মুসলিম সম্প্রদায় প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহায় অনাবিল আনন্দঘন উৎসবের আমেজ চলে। ঈদ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা দুর্লভ! বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে সব কিছুতে  বিপর্যয় ঘটেছে, করোনা মোকাবেলায় এবং বিস্তাররোধে সামাজিক দূরত্ব, হোমকোয়ারান্টাইন এবং লকডাউন নিশ্চিতকরণে যে সকল পদক্ষেপ গৃহিত হয়েছে সর্বত্র তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে, কর্মহীন হয়ে পড়েছে প্রায় সকল মানুষ, কর্মহীন অসহায় মানুষদের ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিচ্ছে সরকার, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবক সংস্থা ও সমাজের মহান ব্যক্তিগণ এসব কষ্টে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানুষ মানুষের জন্য এই বাক্য এখন বেশি প্রামাণ্যচিত্র।

 অপরপাশে দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ, কর্মহীন মানুষের জীবনে ঈদ যেন কাল হয়ে দাড়িয়েছে, লোকজন প্রতিবছর বাড়ির সকলের জন্য নতুন জামা-কাপড় এবং যথাসাধ্য ভালো মানের খাবারের আয়োজন করে কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সে আশা মাটি হয়েছে, দুর্দিনে দুবেলা খাবার পাচ্ছে না তাদের আবার নতুন পোশাক আর ঈদ কিভাবে হবে, মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত সবাই এক সারিতে দাড়িয়েছে, ঈদে প্রিয় বাবা-মা, স্ত্রী সন্তানদের নতুন পোশাক ভালো খাবার যোগাড় না করার দুঃখ কষ্টে জর্জরিত।

ছোট ছোট শিশু, বাচ্চারা দুধের অভাবে ভুগছে অনেক বাবা মা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে সেহরি আর ইফতারে ব্যবস্থা করতে পারছে না প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত পরিবারের সবাই প্রত্যাশিত ঈদ থেকে বঞ্চিত। 

প্রতিবছর লাল পাঞ্জাবি, ফতুয়া ও জামার আনন্দ এবার আর খুজে পাওয়া যাবে না। ঈদের হাসি যেন চলে গেছে। উচ্চবিত্ত মানুষেরা সব সুযোগ পেলেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারবে না, ঈদ যেন ছুটি নিয়েছে।

বিশ্বব্যাপি মৃত্যুর মিছিলে ঈদ আনন্দ দীর্ঘ ছুটিতে, চারিদিকের নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।ইতিহাস বলে ভেঙেপড়া অর্থনীতি যতবার সমাজের গায়ে আঁচড় দিয়েছে, যতবার দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে মানুষের ততবারই বিপুল পরিবর্তন ঘটেছে সমাজে, পরিবর্তন এসেছে, আমাদের সামাজিক জীবনে পারিবারিক জীবনে যা পুরো ব্যাহত করছে ঈদ আনন্দকে। ঈদ মানে আনন্দ এই কথাটি পুরোনো, ঈদ আনন্দ বিসর্জনের পাতায় নেই কোন আনন্দ উল্লাসের অজস্র মানুষের কথোপকথন। করোনার প্রভাবে অতৃপ্তির আর্তনাদ! থেমে গেছে জীবন থমকে গেছে ঈদের আনন্দ। পুরোদেশ দেশের মানুষ যেন একসাথে থমকে গেছে। দীর্ঘতর এই করোনার প্রভাবটা মুলত ঈদ কে বাধাগ্রস্ত করে তুলছে। সব কিছু একটা ছাপ পড়েছে যা বেদনাকাতর। এই করোনাভাইরাস যেমনভাবে আক্রমণ করেছে, তেমনি বদলিয়ে দিয়েছে মানুষকে। তাদের সীমা বুঝতে পারে এবং নতুনভাবে নিজেদের জীবনকে গড়ে তুলে এই প্রত্যাশা আসন্ন ঈদে। অল্লাহর কাছে এখন প্রার্থনা দেশের কোটি কোটি মানুষের ভিড়ে, উচ্চবিত্ত মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত সকলের মাঝে ঈদ আসুন আনন্দের বার্তা নিয়ে। ঈদের আনন্দ তবুও ছুয়ে যাক সবাইকে। ঈদ মোবারক।

লেখক: নাদিম মাহমুদ, শিক্ষার্থী, কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।

 
Post COVID –19 life: What will change?

We are facing a global health crisis of the generation with 4 million infected cases and 275,000 deaths so far. However, it is much more than a health crisis. It is an economic and social catastrophe. This COVID – 19 pandemic affected all segments of the populations: old and youths, rich and poor.

No doubt, this pandemic has taught us a good lesson. It has compelled us to see things differently and also to think differently. The lessons we have learned that we have to enhance our knowledge and technological knowhow to deal with this deadly virus. Moreover, this pandemic has forced us to get accustomed to some social habits, such as maintaining personal and public hygiene measures and social distancing. People are getting used to wearing facemasks and forgetting the age-old traditions of handshaking. These new-formed habits will linger way after lockdowns are lifted.

Having said that, I believe, this COVID-19 saga will come to an end; but the landscape of post- COVID-19 will be different. Of course, we will get back to our lives. We will have a vaccine, and new public health protocols for how to prevent another calamity of this scale. However, reaching that point will depend on our current actions. We must respect social distancing measures and maintain personal hygiene. Only then we will experience a better post-pandemic world.

- Professor Dr. Abu Naser Zafar Ullah

Associate Dean, Faculty of Allied Health Science

 

করোনা শিক্ষাগুরু

আবার যদি ফিরি

হিংসা  আর সংঘাতে ধরনী

হবেনা অগ্নিগিরি

আবার যদি হাসি

সুখ ছিটিয়ে দারুন জোরে

বলব ভালবাসি

আবার যদি কাঁদি

আলতো করে মুছে দেব

চোখের জলের নদী

আবার যদি বাঁচি

বিত্ত বৈভব অহংকারের

ফানুশ উড়াবোনা মিছি

যদি ফের করো বড়াই

ইচ্ছে করেই শুনিয়ে দেব

অসহায়ের লড়াই

আবার যদি ফিরি ক্লাসে

জ্ঞানের নেশায় আর উল্লাসে

বদলে দেব পরিবর্তনের মানচিত্রে

সত্যিকারের মানুষের বেশে

জাতি গোত্রে এবং দেশে  

নব জীবনের নব স্লোগানে

মানুষের দেশে, মানুষের গানে

উড়িয়ে দেব শান্তির পতাকা

কেড়ে নিলে অনেক কিছু

দিলেও অনেক শুরু

ফের আবার হব মানুষ

ধন্যবাদ হে  মাননীয়

"করোনা" শিক্ষাগুরু।

-কাউছার হামিদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার, স্টুডেন্টস' অ্যাফেয়ার্স

 
পরবাসে জীবন

মাত্র সাত দিনের জন্য এসে এই দূর প্রবাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে পড়তে হবে এমনটা কখনো কল্পনাতেও আসেনি আমার। দেশ থেকে প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার দূরে বৈশ্বিক মহামারির সময় সম্পূর্ণ অপ্রস্তুতভাবে আটকে থাকা শারিরীক এবং মানসিক উভয়ভাবেই কতটা কষ্টকর সেটা বলে বা লিখে বোঝানো সম্ভব না। আমি গত ৭ই মার্চ বাংলাদেশ থেকে এরাসমাস প্লাস স্কলারশিপ নিয়ে ৭ দিনের জন্য লিথুনিয়ার মাইকোলাস রোমারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি শিক্ষক হিসেবে পড়াতে আসি। আমার ফিরতি টিকিট ছিল ১৫ই মার্চ। লিথুনিয়া থেকে ফ্রান্সের প্যারিস এ আমার প্রথম ট্রানজিট ছিল। ১৬ মার্চ সকালে ফ্লাইটে আরোহণ এর কিছুক্ষণ আগে কাতার এয়ারওয়েজ থেকে আমাকে জানানো হয় বাংলাদেশ এর ইমিগ্রেশন থেকে ইউরোপ থেকে যাত্রী নিতে নিষেধ করা হয়েছে বিধায় আমার আমার টিকিটটি বাতিল করা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ বাংলদেশ এমব্যাসি, ফ্রান্স এ যোগাযোগ করি এবং সেখান থেকে একটা অনুমতিপত্রও মেলে কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরতে পারিনি আমি।

ফ্রান্স অনেকের কাছে স্বপ্নের দেশ, প্যারিস পৃথিবীর অন্যতম প্রাণচঞ্চল শহর । বলা হয়ে থাকে এই নগরী ভালোবাসার নগরী। গত ৫২ দিন ধরে এখানে গৃহবন্দি আমি একটি বাবের জন্যও প্রাণ খুজে পাইনি। স্বপ্নের দেশ ভাবা তো অনেক দূরের কথা। তবে স্বপ্ন দেখি প্রতিনিয়ত। প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয় কাল সকালেই হয়ত সব ঠিক হয়ে যাবে। সকাল হয় ঠিকই কিন্তু ঠিক হয় না পরিস্থিতি। বাড়তে থাকে অপেক্ষা, ফেরার অপেক্ষা! কিন্তু ফেরার তারিখ জানা নেই আমার।

মো. রাশেদুল ইসলাম,

শিক্ষক, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ

বন্দি দিনগুলোর শুরুটা ছিলো মার্চের ১৮ তারিখ থেকে। ভাবলেই অবাক লাগতো, কিভাবে থাকবো কক্ষের মধ্যে সারাদিন। প্রতিদিন বাইরের জগৎ না দেখলে মন ভালো থাকে না। বন্ধু বান্ধব, ক্লাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে খাওয়া-দাওয়া এই ছিল জীবন। যখন এসেছিলাম নতুন দেশে পড়তে, তখনই ভেবেছিলাম, পড়াশোনার পাশাপাশি ঘুরে দেখবো পরদেশের রূপটাকে। সেই সুযোগ হওয়ার আগেই গৃহবন্দি হলাম।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হলো, ভিতরের কোনো শিক্ষার্থী বাইরে যেতে পারবে না এবং বাইরের শিক্ষার্থীরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। আর শুরু হয়ে গেলো অনলাইনের ক্লাস। অনলাইনের ক্লাসে চাপ একটু বেশি থাকলেও প্রতিদিনই কাটে নতুন কিছু শেখার মধ্যে দিয়ে। শুধুমাত্র যে পড়াশুনাই অনলাইনে করি তা কিন্তু না, একদমই না! আমার শুরুটা ছিলো ছবি আঁকা থেকে। যখনই সময় পাওয়া, অমনি বসে পরা টেবিলে এবং শিখতাম কিভাবে রুলারের সাহায্যে আঁকা যায় ছবি। তারপরে একে একে শুরু হলো নতুন নতুন রান্না শেখা। এবং বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ। তাহলে কি বলবো আমি গৃহবন্দি হয়ে ভালো আছি না খারাপ?

ভালো আছি আমি, সব থেকে বড় কথা এই খারাপ সময়ে আমি ঘরের মধ্যে বন্দি না নিজেকে সুরক্ষা করছি। সুখবর হলো, মালয়েশিয়ার পেনাং শহরকে গ্রীণ এরিয়া বা সেফজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

জান্নাতুল বাকিয়া সুইটি

এলামনাই, ইরেজি বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

বর্তমানে মাস্টার্স ইন সাস্টেইনাবেল সিটিস এন্ড কমিউনিটিস বিভাগে অধ্যায়নরত।

My Experience during Lock down.

Surviving quarantine   in Yunus Khan Scholars Garden hostel during this global Covid-19 pandemic for more than a month has lot of brighter sides which cannot be over emphasized. It creates many opportunities for me to realize and appreciate things which I don’t have the time or patient to do before.

As this hostel is equipped with various facilities ranging from, strong internet connection, 24 hours electricity supply, beautiful green nature of the hostel and a restaurant which made life really conducive for me during this trying situation. The internet facility help me to gained access to the online classes as per schedule.

I also make research using the internet any time the need arises. As humans we cannot go without food as it is our main energy source therefore having a restaurant within the hostel is really awesome, things I should be worried about especially food of my choice is no more a worry. The green nature of the surrounding is really pleasing to the eye, it relief stress and make me feel like am dwelling in earthly paradise.

In conclusion to sum it up DIU really make me to feel home even in the most trying and difficult situation.

 

With Love

Lamin Ndow

Intenrational Students

Master’s in Public health

Daffodil International University

 
Doctor's Tips

Write up by: -  Dr. Muhammed Muhiuddin Mazumder

In the midst of fighting against the novel coronavirus (COVID-19) where there is no available treatment or vaccination yet, preventive and supportive measures are the only options in our hands.

According to World Health Organization (WHO), hand wash with soap or alcohol based solution for at least 20 seconds, avoid touching your eyes, nose, or mouth with unwashed hands, avoid close contact with people who are sick, social distancing by at least 1 meter and using of mask where needed are among the basic protective measures against COVID-19.

(1) Watch for these symptoms of coronavirus: runny nose, cough, sore throat, fever, headache, and a general ill feeling. Stay home if you have cold-like symptoms or suspect you may have COVID-19. Cover your mouth and nose with a tissue when you cough or sneeze, then throw the tissue in the trash and wash your hands. Clean and disinfect objects and surfaces that you touch. Drink plenty of liquids, get extra rest.

(2) If you feel you are sick you are encouraged to contact with IEDCR for further guidance.

Globally, it is a great challenge to combat it. Even though countries are taking stronger measures to contain the spread of COVID-19, self-quarantine and social distancing are also very crucial. Good nutrition is crucial for health, particularly in times when the immune system might need to fight back. For optimal health, it is also important to remain physically active. 

 
Psychologists' Corner

Hypochondriasis is a disorder in which people strongly believe that they have a serious or life-threatening illness despite having no, or mild, or few symptoms. They are excessively and unduly worried about having a serious illness. Actually it is a disorder of "perception and cognition. In the DSM-5, it is diagnosed as illness anxiety disorder. For example, a person who has a minor cough may think that he/she has tuberculosis or some other disease.

People with hypochondriasis have: 1. Preoccupation with fears of having, or the idea that one has, a serious disease based on the person's misinterpretation of bodily symptoms. Physical symptoms are not present or if present, only mild, 2. The preoccupation persists despite appropriate medical evaluation and reassurance, 3. Constantly talking and checking about their health and possible illnesses, 4. Frequently searching the internet for causes of symptoms or possible illnesses.5. The preoccupation causes clinically significant distress or impairment in social, occupational, or other important areas of functioning for at least 6 months.

People with hypochondriasis may have had a serious illness in the past that could lead them to misinterpret that all body sensations are serious, so they search for evidence to confirm that they have a serious disease or if they had parents who worried too much about their own health or their child’s health. People who excessively use the internet to search for health information and who have a tendency toward being a worrier / who have major life stress are at risk of hypochondriasis. To prevent hypochondriasis one can learn how to recognize stressor when they're stressed and how this affects the body and they can regularly practice stress management and relaxation techniques. One can stick with their treatment plan to relapses or worsening of symptoms of hypochondriasis.

Most research indicates that Cognitive Behavioral Therapy (CBT) is an effective treatment for hypochondriasis. If you have hypochondriasis, you can seek professional advice as soon as possible. Hopefully you will get rid of hypochondriasis soon.

Written by: Md. Abu Tareque, Psychologist, Daffodil International University

 
নিজের প্রতি সদয় হই

আমরা নিজেরাই নিজের সবচেয়ে বড় সমালোচক। একটুভেবে দেখুন তো, আজ সারাদিন আপনি নিজেকে নিজে কতবার নেতিবাচকভাবে সমালোচিত করেছেন?  ‘আমাকে দিয়ে কিছু হবেনা, আমি কিছু পারি না। ‘আমি কখনই ভাল কিছু করতে পারব না’। ’সবাই পারে, আমি পারি না’ কিংবা ‘আমি খুবই বোকা’। হ্যাঁ এই নেতিবাচক মন্তব্যগুলো আমরা সর্বদাই করে থাকি। এবার একটু ভেবে দেখুন। এই মন্তব্যগুলো আপনার খুব প্রিয় কোন মানুষ যদি আপনাকে করেন, তাহলে আপনার মনের অবস্থা ঠিক কেমন হবে? হয়তো আপনি খুব কষ্ট পাবেন, রাগ হবে, নিজেকে ছোট মনে হবে, তার জন্য ইতিবাচক কিছু করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ঠিক তেমনটিই ঘটে আপনার সাথে। নিজেকে সারাক্ষণ নেতিবাচক মন্তব্য করতে করতে আপনিও আপনার প্রতি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন, নতুন কিছু করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, বিষন্নতা বা উদ্বিগ্নতা ভর করে। তাই নিজের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন করে সহানুভূতিশীল, যত্নবান হতে হবে। নিজেকে বার বার কাঠগড়ায় দাঁড় না করিয়ে নিজেকে বলুন “আমার পক্ষে সবসময় নিখুঁত হওয়া সম্ভব নয়, হয়ত আমি অনেক কিছুই করতে পারিনি বা পারিনা তবুও আমি আমার পাশে আছি। ঠিক তেমনিভাবে যেমন করে আমরা আমাদের প্রিয় মানুষটিকে সহমর্মিতা জানাই।

লেখকঃ বিলকিস খানম, সাইকোলজিস্ট।

 
More News
Online Learning Summit- 2020

The Online Learning Summit - 2020 is a gathering of students, teachers, educators, and practitioners. It will emphasize on the engagement of the students where they will participate, engage, and share their views on online education. 

Dr. Dipu Moni, MP, Honorable Education Minister, Government of the People's Republic of Bangladesh successfully inaugurated the 3 day long (14-16 May) Online Learning Summit by Live program as Chief Guest.

This program is hosted by: Daffodil International University and Co-Hosted by: a2i - Access to Information

More Info
DIUDC Online BP Fundraiser 2020: Inter Club

Daffodil International University Debating Club (DIUDC) organized a BP Fundraiser to help the people who needs help in this pandemic through this fundraiser. As the whole world has lost the rhythm by the pandemic, we all are staying home and maintaining social distance to alleviate the pandemic effect. Keeping this in mind DIUDC has taken the initiative to bring the debate circuit together once again through online. 

Congratuation to team JUDS-সংশপ্তক for becoming the champion of this competition.

More Info
Coronathon-19

3-day long (May 02-04) CoronaThon-19 which is a “Hackathon on Combating the Coronavirus' ' in online platform ended on May 04, 2020.

Honourable State Minister Mr. Zunaid Ahmed Palak, MP, ICT Division, Ministry of Posts, Telecommunications & Information Technology closed the CoronaThon-19 as the chief guest while Dr. M. Kaikobad, Professor, Department of Computer Science and Engineering, Bangladesh University of Engineering and Technology was present as the special guest. 

More Info
 

Copyright© 2020
Office of the Director of Students' Affairs,
Daffodil International University.
All rights reserved.

 Facebook  Web  Linkedin  Youtube

Cover photo by: Mr. Kawsar Hamid, Asst. Administrative Officer, DSA Office 

Editorial: Mr. Muhammad Sajidul Islam, Lecturer and Coordinator (PC), DSA Office

Designed by: Ms. Fahmi Hasan, Administrative Officer, DSA Office

Special Thanks to:  DSA Team, DIU Web Team and Office of the Public Relations, DIU